সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল - ১৯৭৯ খ্রিঃ


  • আমাদের সম্পর্কে
  • ফেনী শহরের পশ্চিম প্রান্তে, মহিপাল চত্বর থেকে পূর্বদিকে, শহিদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের উত্তরপার্শ্বে হাজারো গাছ-গাছালির ছায়ায় ডাকা, নানান জাতের পাখ-পাখালির কল-কাকলিতে মুখরিত, এক মনোলোভা মনোরম পরিবেশে আপন মহিমায় মাথা উচুঁকরে দাঁড়িয়ে আছে সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ।

    কলেজ প্রতিষ্ঠার সাথে যাঁদের নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত তাঁরা হলেন- ফেনী রামপুরের অধিবাসী শ্রদ্ধেয় আবদুস সাত্তার, বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং ফেনীতে নারী শিক্ষার অগ্রদূত মরহুমা রোকেয়া আজিজ (ফেনী জেলা পরিষদ প্রশাসক শ্রদ্ধেয় আজিজ আহাম্মদ চৌধুরীর সহধর্মিনী) ও কাজী আনোয়ারা হোসেন। এই মহান সংগঠকদের সক্রিয় উদ্যোগ এবং ফেনীর শত শত মানুষের আর্থিক ও নৈতিক সমর্থনে গড় উঠেছিল ফেনী মহিলা কলেজ।

    ০৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ খ্রি. তারিখে ফেনীর ঐতিহাসিক রাজাঝির দীঘির পূর্ব পাড়ে পাবলিক লাইব্রেরির দোতলায় কলেজটির শুভ উদ্বোধন হয়। পাবলিক লাইব্রেরির ০২টি এবং ফেনী ক্লাবের ০২টি কক্ষে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮০/১৯৮১ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাত্র ০৮ জন ছাত্রী নিয়ে এ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে তৎকালীন মাহামান্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আট লক্ষ টাকাসহ ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ০২ একর ৪৫ শতাংশ জমি কলেজের নামে বরাদ্দ দেন এবং এখানেই স্থাপিত হয় দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন ভবন। ১৯৮১ সারের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়া শহিদ হন। কলেজের নতুন ক্যাম্পাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মরহুমের অসীম অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংগঠনিক কমিটি কলেজের নামকরণ করে সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ। ১৯৮২ সালে নতুন ভবনে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তিতে কলেজ ক্যাম্পাসে যুক্ত হয় চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ক্যান্টিন, শহিদ মিনার, ছাত্রী নিবাস। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ফেনী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় কলেজটিকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন এবং পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৭ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। শুরুর দিকে মাত্র ০৮জন ছাত্রী নিয়ে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও আজ কলেজ ক্যাম্পাস ছাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত। বর্তমানে  কলেজে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা, স্নাতক পর্যায়ে বিএসএস ও বিবিএস (পাস) কোর্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। প্রথম দিকে সম্মানতি শিক্ষকগণ এবং কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্যগণকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাত্রী যোগাড় করতে হয়েছে। আজ শিক্ষার্থীদের মোট আবেদনের এক তৃতীয়াংশ ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের পছন্দ করার কতগুলো বাস্তব কারণ রয়েছে। প্রথমত : কলেজ ক্যাম্পাসটি ছায়া-সুশীতল ও নয়নাভিরাম, দ্বিতীয়ত : কলেজ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তৃতীয়ত : শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ, চতুর্থত : সাহিত্য সাংস্কৃতিক মননশীলতা বিকাশে অনুকূল পরিবেশ। সর্বোপরি পঞ্চমত : অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী এবং অফিসের আন্তরিক ও পেশাদারিত্ব মনোভাব।

    কলেজের শিক্ষার মান ও ফলাফল উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করতে করতে বর্তমানে ঈর্ষনীয় অবস্থায় উপনীত। বিশেষ করে বর্তমান অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং শিক্ষকগণের আন্তরিকতার কারণেই শিক্ষার্থীরা এরূপ ফলাফল অর্জন করতে স্বক্ষম হচ্ছে।

    • অধ্যক্ষের বার্তা
  • অধ্যাপক কামরুন নাহার
    বিস্তারিত...
    • উপাধ্যক্ষের বার্তা
  • অধ্যাপক মুহাম্মদ জয়নুল আবদীন
    বিস্তারিত...
    • গুগল ম্যাপ
    • অফিসিয়াল ফ্যান পেইজ
    • জরুরী হটলাইন

    • জাতীয় সংগীত
    কপিরাইট © 2024 সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত.
    ডেভেলপ করেছে  স্কিল বেসড আইটি